তেহরান (ইকনা): সম্প্রতি ইমাম আলী ইবনে মুসা আল-রেজা’র (আ.) পবত্রি মাজারে ইরানের বিশিষ্ট ক্বারী হোসাইন পুর কবির সূরা "তওবা"র ১০১ থেকে ১০৭ আয়াত তিলাওয়াতকরেছেন। তার মনোমুগ্ধকার এই তিলাওয়াতের অডিও ফাইল ইকনার শ্রোতাদের জন্য উপস্থাপন করা হল:

সম্প্রতি ইমাম আলী ইবনে মুসা আল-রেজা’র (আ.) পবত্রি মাজারে ইরানের বিশিষ্ট ক্বারী হোসাইন পুর কবির সূরা "তওবা"র ১০১ থেকে ১০৭ আয়াত তিলাওয়াতকরেছেন। তার মনোমুগ্ধকার এই তিলাওয়াতের অডিও ফাইল ইকনার শ্রোতাদের জন্য উপস্থাপন করা হল:
وَمِمَّنْ حَوْلَكُمْ مِنَ الْأَعْرَابِ مُنَافِقُونَ ۖ وَمِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ۖ مَرَدُوا عَلَى النِّفَاقِ لَا تَعْلَمُهُمْ ۖ نَحْنُ نَعْلَمُهُمْ ۚ سَنُعَذِّبُهُمْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ يُرَدُّونَ إِلَىٰ عَذَابٍ عَظِيمٍ ﴿١٠١﴾
এবং তোমাদের চারপাশের মরুবাসী আরবদের মধ্যেও কপটরা রয়েছে; এবং স্বয়ং মদীনাবাসীদের মধ্যেও, তারা কপটতায় সিদ্ধহস্ত (ও অবাধ্য)। (হে রাসূল!) তুমি তাদের জান না, কিন্তু আমি তাদের জানি, অতি সত্বর তাদের দু’বার শাস্তি দেব; অতঃপর তাদের (কিয়ামতে) এক মহাশাস্তির দিকে প্রত্যানীত করা হবে।
وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴿١٠٢﴾
এবং কিছু সংখ্যক লোক যারা নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে তারা সৎকর্মের সাথে অসৎ কর্ম মিশ্রিত করেছে। আশা করা যায় আল্লাহ তাদের তওবা গ্রহণ করবেন; কেননা, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, অনন্ত করুণাময়।
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴿١٠٣﴾
(হে রাসূল!) তুমি তাদের সম্পদের যাকাত গ্রহণ কর এবং এর মাধ্যমে তাদের পবিত্র কর এবং তাদের জন্য দোয়া কর; কেননা, তোমার দোয়া তাদের পক্ষে চিত্তের প্রশান্তিস্বরূপ; এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।
أَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَأْخُذُ الصَّدَقَاتِ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴿١٠٤﴾
তারা কি অবগত নয় যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং তিনিই সাদাকাসমূহ গ্রহণ করেন; নিশ্চয় একমাত্র আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ وَالْمُؤْمِنُونَ ۖ وَسَتُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ﴿١٠٥﴾
এবং তুমি বল, ‘তোমরা (নিজ নিজ করণীয়) কর্ম করতে থাক; অতি সত্বর আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও বিশ্বাসীরা তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন। এবং অতি শীঘ্রই দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা সমীপে তোমরা প্রত্যানীত হবে; অতঃপর তোমরা যা করতে তিনি তোমাদের তা জানিয়ে দেবেন।’
وَآخَرُونَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ اللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ﴿١٠٦﴾
এবং অন্যদের (বিষয়) আল্লাহর আদেশের অপেক্ষায় মূলতবী রাখা হয়েছেÑ হয় আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন অথবা তাদের তওবা কবুল করবেন; এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ ۚ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَىٰ ۖ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ ﴿١٠٧﴾
এবং (একদল মুনাফিক রয়েছে) যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে এ উদ্দেশ্যে যে, এর মাধ্যমে (ইসলামের) ক্ষতি সাধন ও কুফ্রী প্রচার ও বিশ্বাসীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং এমন ব্যক্তি যে ইতঃপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার জন্য (একে) গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে, তারা অবশ্যই শপথ করবে (করে বলবে) যে, ‘(মসজিদ নির্মাণের পেছনে) আমাদের সৎ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।’ এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দান করছেন যে, তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।